গঠনতন্ত্র
১) নামঃ এই সংগঠন ‘ইউআইটিএস অ্যালামনাই এসোসিয়েসন’ নামে অভিহিত হইবে। ইংরেজি ভাষায় তা ‘UITS Alumni Association’ নামে অভিহিত হইবে।
২) দপ্তরঃ এই সংগঠনের সদর দফতর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে অবস্থিত হইবে।
বর্তমান ঠিকানাঃ জামালপুর টুইন টাওয়ার (টাওয়ার ২), বারিধারা ভিউ, গ-৩৭/১ প্রগতি সরনি, বারিধারা জে-ব্লক, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ।
স্থায়ী ঠিকানাঃ হোল্ডিং-১৯০, রোড-৫, মধ্য নয়ানগর, ভাটারা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ।
৩) কার্য এলাকাঃ সমগ্র বাংলাদেশ।
৪) উদ্দেশ্য ও কার্যাবলীঃ এই সংগঠন সম্পুর্ণরূপে একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসাবে নিম্নলিখিত উদ্দেশ্য সাধনকল্পে কাজ করিবে।
- ক. উপনিবেশিক আমলে প্রবর্তিত এবং বর্তমানে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী ও জনকল্যাণকর শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করার লক্ষ্যে কাজ করা।
- খ. সংগঠনের সদস্যদের পেশাগত স্বার্থ সংরক্ষণ, মান-মর্যাদা ও ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে কাজ করা এবং সদস্যদের জন্য বেনোভোলেন্ট ফান্ড, গ্রুপ ইন্সুরেন্স ও রিলিফ ফান্ডসহ বিভিন্ন কল্যাণমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করা।
- গ. অক্ষম ও দরিদ্র জনগনকে সাহায্য ও সহায়তা প্রদানে সচেষ্ট হওয়া।
- ঘ. জাতীয় ক্ষেত্রে মানবাধিকার সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে কাজ করা।
- ঙ. গবেষনামূলক পত্রিকা/ জার্নাল প্রকাশ করা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এবং শিক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক প্রমাণ সমুহ সংরক্ষণ করা।
- চ. শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী ও ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদানে সহায়তা করা।
- ছ. শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি, উৎসাহ প্রদান, উত্তম চরিত্র গঠন ও ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা করা।
- জ. মেধাবী, কৃতি ও দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করা।
- ঝ. জাতীয় জনহিতকর সংগঠন/ সমিতি সমুহের সংগে যোগসূত্র বা সম্পর্ক স্থাপন করা।
- ঞ. সদস্য/ সদস্যাদের মননশীলতা, সৃজনশীলতা এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা।
- ট. জনসাধারনের জন্য চিকিৎসা, শিক্ষা, পাঠাগার, চিত্তবিনোদন ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ও বাস্তবমূখী কর্মসূচী গ্রহণ করা।
- ঠ. বিভিন্ন জনহিতকর ও মানবিক কাজে অংশ গ্রহণ এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুলক বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করা।
- ড. বিভিন্ন সময়ে সংগঠন কর্তৃক জনকল্যাণ মুলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করাসহ তার বাস্তবায়ন করা।
- থ. জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ কল্পে বাস্তবমুখী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করা।
উপরোক্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলী বাস্তবায়নে এই সংগঠন কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় রক্ষা করিবে ।
৫) রেজিস্ট্রেশনঃ বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এই সংগঠন রেজিস্ট্র্রিভূক্ত হবে ।
৬) গঠনতন্ত্রে ব্যবহত শব্দাবলীর ব্যাখ্যাঃ এই গঠনতন্ত্রে অন্যভাবে উল্লেখ না থাকিলে,
- ক) সংগঠন বা ‘UITS Alumni Association’ বলিতে ‘ইউআইটিএস অ্যালামনাই এসোসিয়েসন’ বা ‘UITS Alumni Association’ কে বুঝাইবে এবং সংক্ষেপে ইউআইটিএসএএ বা UITSAA বুঝাইবে।
- খ) “সংগঠন” বলিতে ইউআইটিএস (ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সায়েন্সেস)-এর ‘ইউআইটিএস অ্যালামনাই এসোসিয়েসন’ কে বুঝাইবে।
- গ) “সংসদ” বলিতে সংগঠনের কার্যকরী সংসদকে বুঝাইবে।
- ঘ) সদস্য/সদস্যা বলিতে ইউআইটিএস ইউনিভার্সিটির অ্যালামনাই এসোসিয়েসন এ যাহারা সদস্য হিসাবে লিপিবদ্ধ হইবে তাহাদের সকলকে বুঝাইবে।
- ঙ) “সংসদ সদস্য” বলিতে কার্যকরী সংসদ সদস্য কে বুঝাইবে।
- চ) “সাধারণ সভা” বলিতে বুঝাইবে ‘ইউআইটিএস অ্যালামনাই এসোসিয়েসন’-এর সাধারণ সদস্য/সদস্যাদের সভা।
- ছ) “কার্যকরী সংসদ” বলিতে সমিতির সাধারণ সদস্য/ সদস্যাদের দ্বারা নির্বাচিত কার্যকরী সংসদকে বুঝাইবে।
- জ) “সাধারণ সংসদ” বলিতে সমিতির সাধারণ সদস্য/সদস্যাদের সংসদকে বুঝাইবে।
৭) সদস্যঃ এই সমিতির সদস্য/সদস্যা নিম্নলিখিত ভাবে বিভক্ত হইবেনঃ
ক) সাধারণ সদস্য/সদস্যাঃ সাধারণ সদস্য/সদস্যা ইউআইটিএস ইউনিভার্সিটির যে কোন বিভাগ হইতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর অথবা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীগণ এই সংগঠনের সাধারণ সদস্য/সদস্যা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
খ) আজীবন সদস্য/সদস্যাঃ এই সংগঠনের কার্যকরী সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে যেকোন সদস্য অত্র সংগঠন কর্তৃক নির্ধারিত এককালীন টাকা প্রদান সাপেক্ষে সমিতির আজীবন সদস্য হতে পারিবেন।
৮) পৃষ্ঠপোষকঃ এই সংগঠনের কার্যকরী সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য/সদস্যার অনুমোদন সাপেক্ষে সমাজের গণ্যমান্য যেকোন ব্যক্তিকে এই সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে গ্রহণ করা যাইবে।
৯) উপদেষ্টা পরিষদঃ পদাধিকার বলে ‘ইউআইটিএস অ্যালামনাই এসোসিয়েসন’ উপাচার্য, বিভিন্ন অনুষদের ডীন বা বিভাগীয় প্রধানগণ, সিনিয়র শিক্ষক এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা যাইবে।
১১) সাধারণ সদস্য পদ বাতিলঃ কোন সাধারণ সদস্য সংগঠনের গঠনতন্ত্র বা স্বার্থের বিরুদ্ধে কোন কাজ করলে, ফৌজদারী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলে, সংগঠনের মান- সম্মান ক্ষুন্ন করিলে তাহার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে নিন্দা প্রস্তাব করা বা সদস্য পদ রহিত বা বাতিল হইয়া যাইবে। কোন সদস্যের মস্তিক বিকৃতি ঘটিলেও তার সদস্য পদ বাতিল হইয়া যাইবে। তবে সর্বক্ষেত্রে পরবর্তী সাধারণ সভায় কার্যকরী সংসদ কর্তৃক উক্ত বিষয়টি উপস্থাপিত হইবে। সাধারণ সভার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
১২) সদস্য ভর্তি ফিঃ সংগঠনের সদস্য পদ লাভের জন্য এই সংগঠনের কার্যকরী সংসদ কর্তৃক নির্ধারিত এককালীন ভর্তি ফি প্রদান করিতে হইবে।
১৩) মাসিক চাঁদাঃ সমিতির সাধারণ সদস্যদের এই সংগঠনের কার্যকরী সংসদ কর্তৃক নির্ধারিত মাসিক চাঁদা প্রদান করিতে হইবে।
১৪) সংসদঃ
ক. সাধারণ সংসদঃ এই সংগঠনের তালিকাভুক্ত সকল সদস্য/সদস্যাদের সমন্বয়ে সাধারণ সংসদ গঠিত হইবে।
খ. কার্যকরী সংসদঃ সমিতির বার্ষিক সভায় সদস্য/ সদস্যাদের ভোটে দুই বৎসরের জন্য ৪৫ (পয়তাল্লিশ) টি পদের সমন্বয়ে কার্যকরী সংসদ গঠিত হইবে।
প্রথম মেয়াদের কার্যকরী সংসদ ও তাদের সাক্ষর নিম্নরূপঃ
সভাপতি
সিনিয়র সহ-সভাপতি
সহ-সভাপতি (প্রথম)
সহ-সভাপতি (দ্বিতীয়)
সাধারণ সম্পাদক
যুগ্ম-সম্পাদক (প্রথম)
যুগ্ম-সম্পাদক (দ্বিতীয়)
সাংগঠনিক সম্পাদক
অর্থ সম্পাদক
শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক
সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক
সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক
ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক
আইন বিষয়ক সম্পাদক
গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক
দপ্তর সম্পাদক
মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক
শিক্ষার্থী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
সদস্য
গ. কার্যকরী সংসদের এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কার্যকরী সংসদের গণপূর্তি (কোরাম) বলে গণ্য হইবে।
ঘ. প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার কার্যকরী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
ঙ. কার্যকরী সংসদ সভার অনুন্য ৭ (সাত) দিন পূর্বে সভার স্থান, তারিখ, সময় ও আলোচ্যসূচী সংসদ সদস্যগণকে লিখিত ভাবে জানাইতে হইবে।
চ. জরুরী প্রয়োজনে ৪৮ ঘন্টার নোটিশে কার্যকরী সংসদের সভা আহবান করা যাইবে। এক-তৃতীয়াংশ সদস্যদের উপস্থিতিতে সভার গণপূর্তি (কোরাম) হইবে।
ছ. কার্যকরী সংসদের সদস্যদের পদ বাতিলঃ কার্যকরী সংসদের কোন সদস্য যদি পর পর তিনটি কার্যকরী সংসদের সভায় অনুপস্থিত থাকেন, তাহা হইলে কার্যকরী সংসদ ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অনুপস্থিত সদস্য পদ কেন বাতিল করা হইবে না-এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করিবেন এবং নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সদস্য কারণ দর্শাইবেন। অন্যথায় কার্যকরী সংসদের উক্ত পদটি শুন্য বলিয়া গণ্য হইবে বা দর্শানো কারণ কার্যকরী সংসদের নিকট সন্তোষজনক না হইলে উক্ত পদ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। কার্যকরী সংসদের পদ হারানো সদস্য পরবর্তীতে ৩ (তিন) বৎসর কার্যকরী সংসদের পদের জন্য প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করিতে পারিবেন না।
১৫) সংসদের কার্যবলীঃ
ক) সাধারণ সংসদঃ সাধারণ সংসদ এই সংগঠনের নীতি-নির্ধারনের সর্বোচ্চ সংসদ বলে বিবেচিত হইবে। পূর্ববর্তী সাধারণ সংসদ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়ন ও সাংগঠনিক তৎপরতা পর্যালোচনা করিবেন।
খ) কার্যকরী সংসদের কার্যাবলীঃ
১. বার্ষিক সম্মেলন, সমিতির নির্বাচন ও সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত সমুহ বাস্তবায়নের জন্য এবং সমিতির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কার্যকরী করার জন্য যাবতীয় কার্য সম্পাদন করা।
২. সংগঠনের তহবিলের নিয়মিত হিসাব এবং অডিটকৃত হিসাব বার্ষিক সাধারণ সম্মেলনে পেশ করা।
৩. সমিতির মধ্যে কোথাও মত পার্থক্য সৃষ্টি হলে সংসদ তা দূরীকরণে সচেষ্ট হবে।
৪. সন্মানিত সদস্য, আজীবন সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, পৃষ্টপোষকতা, মনোনয়ন ও কার্যকরী সংসদের শূন্য পদ পূরণ করা।
১৬) কার্যকরী সংসদের কর্মকর্তাদের ক্ষমতা ও কার্যাবলীঃ
ক) সভাপতিঃ সভাপতি সংগঠনের প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে গণ্য বা বিবেচিত হইবেন। তিনি কার্যকরী সংসদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং আবশ্যক বোধে সমিতির গঠনতন্ত্রের যেকোন ধারা/ অনুচ্ছেদ-এর ব্যাখ্যা করে রুলিং দিতে পারিবেন এবং যেকোন ধারার বা অনুচ্ছেদের ও ব্যাখ্যা সম্বন্ধে সাধারণ সভা বা কার্যকরী সংসদ সভা এবং জরুরী সভা আহবানের জন্য অনুরোধ করিবেন। সাধারণ সম্পাদকের অপারগতায় প্রয়োজন বোধে তিনি নিজেও বার্ষিক সম্মেলন, সাধারণ সভা এবং জরুরী সভা আহবান করিতে পারিবেন।
খ) সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সহ-সভাপতিদ্বয়ঃ সভাপতির অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি সাধারণ ও কার্যকরী সংসদের দায়িত্ব পালন করিবেন এবং সভাপতি বিবেচিত হইবেন। সভাপতি এবং সিনিয়র সহ-সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি(প্রথম) সাধারণ ও কার্যকরী সংসদের দায়িত্ব পালন করিবেন এবং সভাপতি বিবেচিত হইবেন। সভাপতি, সিনিয়র সহ–সভাপতি এবং সহ- সভাপতি(প্রথম) এর অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি (দ্বিতীয়) সাধারণ ও কার্যকরী সংসদের দায়িত্ব পালন করিবেন এবং সভাপতি বিবেচিত হইবেন। এছাড়াও সভাপতির অনুরোধ ক্রমে সংগঠনের যেকোন বিশেষ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকিবেন ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা প্রদান করিবেন।
গ) সাধারণ সম্পাদকঃ সাধারণ সম্পাদক সমিতির প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে পরিগণিত হইবেন। তিনি সম্পাদকগণকে তাদের বিভাগ কার্যাবলী সম্পাদন করার উপদেশ ও অনুরোধ জ্ঞাপন করিবেন। তিনি নিবন্ধী করণ কর্তৃপক্ষ এবং কার্যকরী সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে সদর দপ্তরে কর্মচারী নিয়োগ ও বেতন বৃদ্ধি বা হ্রাস এবং ছুটি মঞ্জুর বা শাস্তির ব্যবস্থা করিতে পারিবেন। সংগঠনের সকল প্রকার আয়-ব্যয় সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে সম্পন্ন হইবে। সংসদের অনুমতি ব্যতিরেকে সম্পাদক এককালীন ব্যয় হিসাবে নির্দিষ্ট অংকের অর্থ ব্যয় করিতে পারিবেন যাহা কার্যকরী সংসদ কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত হইবে এবং সকল প্রকার আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করিবেন। প্রয়োজনবোধে এই এককালীন ব্যয়ের পরিমাণ এই সংগঠনের কার্যকরী সংসদ সময়ের সহিত সঙ্গতি রাখিয়া পরিবর্তন করিতে পারিবে। সভাপতির অনুমতিক্রমে তিনি বার্ষিক সম্মেলন, সাধারণ সভা, কার্যকরী সংসদ সভা ও জরুরী সভা আহবান করিবেন এবং সম্পাদকগণের কাজের তদারক ও সমন্বয় রক্ষা করিবেন। তিনি সাধারণ সংসদ সভা ও বার্ষিক সম্মেলনে সমিতির বিভিন্ন কার্যাবলীর রির্পোট পেশ করিবেন। তাছাড়া যে সমস্ত ক্ষমতা বার্ষিক সম্মেলন, সাধারণ সভা, কার্যকরী সংসদ সভা ও জরুরী সভা তার উপর ন্যস্ত করিবেন, তা তিনি প্রয়োগ করিবেন। তিনি সম্পাদকগণের কাজের তদারক করিবেন এবং তার কার্যাবলীর জন্য কার্যকরী সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
ঘ) যুগ্ম সম্পাদকদ্বয়ঃ সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে যুগ্ম-সম্পাদক (প্রথম) সাধারণ ও কার্যকরী সংসদের দায়িত্ব পালন করিবেন এবং সাধারণ সম্পাদক বিবেচিত হইবেন। সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সম্পাদক(প্রথম) এর অনুপস্থিতিতে যুগ্ম-সম্পাদক (দ্বিতীয়) সাধারণ ও কার্যকরী সংসদের দায়িত্ব পালন করিবেন এবং সাধারণ সম্পাদক বিবেচিত হইবেন। তাছাড়াও সভাপতির অনুরোধক্রমে সমিতির যে কোন বিশেষ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকিবেন ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা প্রদান করিবেন।
ঙ) সাংগঠনিক সম্পাদকঃ সমিতির সংগঠনকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন এবং তার কার্যাবলীর জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
চ) অর্থ সম্পাদকঃ অর্থ সম্পাদক সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ ও তহবিল সংরক্ষণ করিবেন এবং তার কার্যাবলীর জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
ছ) শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকঃ সংগঠনের বিভন্ন শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত বিষয় এই সম্পাদকের তত্তাবধায়নে পরিচালিত হবে এবং তার কার্যাবলীর জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
জ) সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকঃ সংগঠনের বিভিন্ন সাহিত্য সংক্রান্ত বিষয় ও অনুষ্ঠানাদি এই সম্পাদকের তত্তাবধায়নে পরিচালিত হবে এবং তার কার্যাবলীর জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
ঝ) সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকঃ এই সম্পাদকের তত্তাবধায়নে সমাজ সেবামূলক ও কল্যাণকর কার্যাবলী সম্পাদন করিতে হইবে এবং তার কার্যের জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
ঞ) সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকঃ সংগঠন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি ও আপ্যায়ন সম্পাদকের তত্তাবধায়নে পরিচালিত হবে এবং তার কার্যের জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
ট) ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকঃ সংগঠন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন ক্রীড়া সংক্রান্ত অনুষ্ঠানাদি ও আপ্যায়ন সম্পাদকের তত্তাবধায়নে পরিচালিত হবে এবং তার কার্যের জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
ঠ) আইন বিষয়ক সম্পাদকঃ কার্যকরী সংসদের অনুমতিক্রমে সংগঠনের প্রয়োজনে আইন বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব এবং তার কার্যের জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
ড) গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ সংগঠনের সকল প্রকাশনা, গ্রন্থনা সংরক্ষণ ও তত্তাবধায়ন এই সম্পাদক কর্তৃক সম্পন্ন হবে এবং তার কার্যের জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
ঢ) দপ্তর সম্পাদকঃ সংগঠনের সকল প্রকার নথিপত্র সংরক্ষণ, দপ্তরের শৃঙ্খলা ও দৈনন্দিন কার্যাবলীর রেকর্ড সংরক্ষণ ও সদ্যস্যদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব এবং তার কার্যের জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
ণ) মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদকঃ কার্যকরী সংসদের অনুমতিক্রমে মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং মানবাধিকার লংঘন রোধ কল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব এবং তার কার্যের জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
ত) আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকঃ কার্যকরী সংসদের অনুমতিক্রমে সংগঠনের প্র্রয়োজনে আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব এবং তার কার্যের জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
থ) শিক্ষানবিশ শিক্ষার্থীদের কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকঃ শিক্ষানবিশ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সহায়তা প্রদানে কার্যকরী সংসদ-এ সুপারিশ প্রদান এবং বাস্তবায়ন করা শিক্ষানবিশ শিক্ষার্থীদের কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব এবং তার কার্যের জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
দ) তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকঃ কার্যকরী সংসদের অনুমতিক্রমে সংগঠনের তথ্য ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি, এই সংক্রান্ত অনুষ্ঠানাদি ও অন্যান্য সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব এবং তার কার্যের জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
ধ) কার্যকরী সংসদ সদস্যঃ সাধারণ সম্পাদকের অনুরোধক্রমে সদস্যগণ সমিতির কার্যাবলী বাস্তবায়নে বিভিন্ন বিভাগীয় সম্পাদকগণকে সাহায্য ও সহযোগিতা করিবেন। কার্যকরী সংসদ সদস্যগণ তাদের কার্যসমূহের জন্য কার্যকরী সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
১৭) তহবিলঃ
ক. সমিতির নামে যেকোন বাণিজ্যিক ব্যাংকে এক বা একাধিক তহবিল থাকিবে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক – এই তিন জনের যৌথ স্বাক্ষরে তহবিল পরিচালিত হইবে।
খ. সমিতির আয়-ব্যয় ও তহবিলের হিসাব কার্যকরী সংসদ কর্তৃক নিয়োজিত সরকার অনুমোদিত পরীক্ষক দ্বারা পরীক্ষা করতঃ বার্ষিক সাধারণ সম্মেলনে অনুমোদন ও পর্যালোচনার জন্য উপস্থাপন করিতে হইবে। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ যেকোন সময় অডিট করিতে পারিবেন।
গ. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, জার্নাল বিক্রয়, অনুদান, সমিতির কোন প্রকল্পের মাধ্যমে সমিতির তহবিল গঠিত হইবে।
ঘ. সমিতির সদস্যদের নিকট হইতে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ প্রাপ্ত টাকা ও প্রত্যেক সদস্যদের নিকট হইতে গৃহিত মাসিক চাঁদা বা অনুদান সমিতির তহবিল হিসাবে গন্য হইবে।
১৮) সভাঃ
ক) সাধারণ সভাঃ
১. বার্ষিক সম্মেলন ব্যতীত বৎসরে অন্তত: একবার সংগঠন সাধারণ সভায় মিলিত হইবে।
২. সাধারণ সভার নির্দিষ্ট তারিখ, সময় ও স্থান অন্ততঃ ১৫ (পনের) দিন পূর্বে লিখিতভাবে সকল সদস্য/সদস্যাকে জানাইতে হইবে।
৩. সংগঠনের এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি সাধারণ সভার গণপূর্তি (কোরাম) বলে গণ্য হইবে।
৪. নির্ধারিত সময়ে কোরাম না হলে উক্ত আগত সভায় পরবর্তী সপ্তম দিনে পূর্বে নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে কোরাম ছাড়াই অনুষ্ঠিত হইবে।
খ) তলবী সভাঃ সাধারণ সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্য সদস্যাদের লিখিত ও সাক্ষরিত প্রস্তাব সভাপতির নিকট দাখিল করে তলবী সভা আহবানের পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং সভা আহবানের জন্য সাধারণ সম্পাদক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
গ) মুলতবী সভাঃ সংগঠনের কোন সভা কোন কারণে মুলতবী হইয়া গেলে ওইদিনই পরবর্তী সভার তারিখ নির্ধারণ করিতে হইবে এবং কোরাম ছাড়াই মুলতবী সভার কাজ অনুষ্ঠিত হইবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে।
১৯) কর্মচারী নিয়োগঃ সমিতির কোন নুতন কর্মচারী নিয়োগের প্রয়োজন হইলে নিবন্ধন করণ কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকরী সংসদ নুতন কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবেন।
২০) অডিটঃ প্রতি অর্থবছর (জানুয়ারী-ডিসেম্বর) শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে সংগঠনের আয়-ব্যয় নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত নিরীক্ষক দ্বারা অডিট করাইয়া বার্ষিক সাধারণ সম্মেলনে আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ উপস্থাপন করিতে হইবে।
২১) বার্ষিক সম্মেলনঃ
ক) প্রতি বৎসর ডিসেম্বর মাসে সংগঠনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হইবে। সমিতির সকল সদস/সদস্যা বার্ষিক সম্মেলনে যোগদান করিতে পারিবেন। কার্যকরী সংসদ বাংলাদেশ ও বর্হিবিশ্বের গুরূত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে অতিথি হিসাবে নিমন্ত্রন করিতে পারিবেন। কার্যকরী সংসদ বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ, স্থান, সময় ও কর্মসূচি স্থির করিবেন এবং সম্মেলনের ১ (এক) মাস পূর্বে লিখিতভাবে সকল সদস্য/সদস্যাগণকে জানাইবেন।
খ) কার্যাবলীঃ
১) পূর্ববতী সম্মেলনের পর সংগঠনের কার্যাবলী ও সাংগঠনিক অবস্থা পর্যালোচনা করা ও পরবর্তী কর্মসূচী প্রণয়ন করা।
২) কার্যকরী সংসদ কর্তৃক পেশকৃত বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষা ও অনুমোদন করা।
৩) কার্যকরী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান।
৪) পৃষ্টপোষক নির্বাচন ।
৫) বিবিধ।
২২) নির্বাচনঃ
ক) কার্যকরী সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত ১ (এক) জন কমিশনার ও ২ (দুই) জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করিবেন। নির্বাচন কমিশনের সদস্যগণ নির্বাচনে প্রার্থী হইতে পারিবেন না। নির্বাচন কমিশন ১৫ (পনের) দিন পূর্বে বৈধ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করিবেন এবং নির্বাচন সিডিউল ঘোষনা করিবেন। সিডিউল অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সম্পন্ন করিবেন। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
ক) প্রতি ২য় বৎসর বার্ষিক সম্মেলনে সমিতির কার্যকরী সংসদ গঠিত হইবে।
খ) গোপন ব্যালটের মাধ্যমে কার্যকরী সংসদ নির্বাচিত হইবে।
গ) কোন পদে ২ (দুই) জন প্রতিদ্বন্ধী সমান সংখ্যক ভোট পেলে নির্বাচন কমিশন লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত করিবেন।
ঘ) সংগঠনের সকল বৈধ সদস্য/সদস্যা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
চ) সংগঠনের যেকোন কোন বৈধ সাধারণ সদস্য/ সদস্যা নিম্নবর্ণিত পদ সমূহের জন্য উল্লেখিত যোগ্যতা অনুসারে প্রার্থী হতে পারিবেন।
১) সভাপতি পদের জন্য স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের তারিখ হইতে পরবর্তী ৬ (ছয়) বৎসর এবং সংগঠনের সদস্য পদ গ্রহণের তারিখ হতে ৩ (তিন) বৎসর অতিক্রান্ত হইতে হইবে।
২) সহ-সভাপতি পদের জন্য স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের তারিখ হইতে পরবর্তী ৫ (পাঁচ) বৎসর এবং সমিতির সদস্য পদ গ্রহণের তারিখ হতে ৩ (তিন) বৎসর অতিক্রান্ত হইতে হইবে।
৩) সম্পাদক পদের জন্য স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের তারিখ হইতে পরবর্তী ৫ (পাঁচ) বৎসর এবং সমিতির সদস্য পদ গ্রহণের তারিখ হতে ৩ (তিন) বৎসর অতিক্রান্ত হইতে হইবে।
৪) কার্যকরী সংসদের অন্যান্য সম্পাদক পদের জন্য স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের তারিখ হইতে পরবর্তী ৫ (পাঁচ) বৎসর এবং সমিতির সদস্য পদ গ্রহণের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর অতিক্রান্ত হইতে হইবে। তবে এই বিধান অত্র সংগঠনের প্রথম কার্যকরী সংসদ এবং সাধারণ সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
ছ) মনোনয়ন দাখিলের তারিখ পর্যন্ত মাসিক চাদাঁ বা অন্যান্য বকেয়া পরিশোধ না করিলে কোন সদস্য/সদস্যা ভোট প্রদান বা নিবার্চনে অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন না।
জ) একজন প্রার্থী যে কোন একটি পদের জন্য নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন।
ঝ) নির্বাচনে অংশ গ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীকে অবশ্যই একজন সদস্য/সদস্যা কর্তৃক কোন পদের প্রার্থী হিসাবে প্রস্তাবিত ও অপর একজন সদস্য/সদস্যা কর্তৃক সমর্থিত হইতে হইবে।
ঞ) মনোনয়নপত্র দাখিলের সাথে প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ ফি (অর্থ) নির্বাচন কমিশনের নিকট জমা দিতে হইবে।
ট) কোন কারণে নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন স্থগিত ঘোষিত হইলে ওই তারিখের পরবর্তী ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
২৩) সংশোধনীঃ সাধারণ সংসদের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ উপস্থিত সদস্য/সদস্যাদের লিখিত ও সাক্ষরিত সংশোধনী প্রস্তাব সভাপতির নিকট পেশ করিবেন এবং সভাপতি উক্ত সংশোধনী প্রস্তাবের কথা উল্লেখ পূর্বক অন্তত ১৫ (পনের) দিনের নোটিশে সকল সাধারণ সদস্য/সদস্যাদের গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য সাধারণ সভা আহবান করিবেন। উক্ত সাধারণ সভায় সদস্য/সদস্যাদের অন্তত দুই- তৃতীয়াংশ ভোটে গঠনতন্ত্র সংশোধন করা যাইবে।
২৪) রক্ষা মুলক ব্যবস্থাঃ এই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনের যাবতীয় কার্যাবলী পরিচালিত হইবে। তবে কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে যদি এমন কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হয় যে সেখানে ওই নির্দিষ্ট বিষয়টি সম্পর্কে গঠনতন্ত্রে কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য, ব্যাখ্যা অথবা পুর্নাঙ্গভাবে কোন কিছু উল্লেখ নাই, সেই ক্ষেত্রে সাধারণ সংসদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।
২৫) বিলুপ্তিঃ যদি কোন কারণে সংগঠনের বিলুপ্তির প্রয়োজন হয়, তবে তিন-পঞ্চমাংশ সাধারণ সদস্য কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে লিখিত ভাবে নিবদ্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে হইবে। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।